অনলাইন ডেস্ক, ১০ মার্চ ।। শেকলে জড়ানো বেজির সঙ্গে ছবি তুলে ইতিমধ্যেই আইনি ঝামেলায় পড়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সেই বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার আগেই ফের বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কটাক্ষের শিকার হলেন কলকাতার প্রথম সারির এ অভিনেত্রী।
বুধবার বিকেলে আচমকাই নিন্দনীয় ভাষায় টুইট বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের। তিনি লেখেন, ‘শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেওয়ার অকাতরে দিয়েছে। যা পাওয়ার পেয়েছে। তার পর পেশায় প্রত্যাবর্তন। বাই বাই রাজনীতি।’
তথাগতর অবশ্য এই ধরনের মন্তব্য নতুন নয়। তখন বিজেপিতে ছিল শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও পার্নো মিত্র। বিধানসভা নির্বাচনের সময় দোলযাত্রায় মদন মিত্রের সঙ্গে চার নায়িকা রং খেলেছিলেন। তখনো একইভাবে অভিনয় পেশাকে কটাক্ষ করে আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
বুধবার ফের তোপ দাগার কারণ কী? বিজেপি থেকে ক্রমশ নেতারা দলত্যাগ করছেন। প্রত্যাবর্তন করছেন শাসকদলে। সাম্প্রতিক উদাহরণ জয়প্রকাশ মজুমদার। তাদের এই পদক্ষেপেরই সমালোচনা করেছেন আসামের সাবেক এ রাজ্যপাল।
তথাগতর দাবি, ‘শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, মুকুল, জয়প্রকাশ। সবারই এক রুটিন। দিন তিনেক স্টেজে উঠে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া। তারপর নিস্তরঙ্গ জীবন!’ তারপরই শ্রাবন্তী সম্বন্ধে তার আলাদা বক্তব্য। বহরমপুরে পৌরসভা ভোট উপলক্ষে সেখানকার তৃণমূল প্রার্থীর রোড শো-তে অংশ নেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক চর্চায় অভিনেত্রী। খবর, সেখানেই তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি জোড়াফুলেই আছেন!
বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে পরাজয়ের পরে গত নভেম্বরে টুইটে শ্রাবন্তী বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তার অভিযোগ, ‘বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে তাদের।’
ওই মাসেই বাসন্তীতে শাসক দল তৃণমূলের চার বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাকে। দলটির শওকত মোল্লা সে দিন দাবি জানিয়েছিলেন, এই মঞ্চেই তিনি নাকি ঘাসফুল হয়ে ফুটতে চলেছেন নতুন করে! শ্রাবন্তীও সে দিন শাসক দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ডাকলে তিনি আবারও আসবেন। তারপরই পৌর ভোটের আগে তৃণমূলের প্রচারে শামিল তিনি।