ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ক্রাইমিয়াকে স্বীকৃতি দিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক, ৯ মার্চ।। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গত কয়েকদিনের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর- ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন,আলোচনা এখন এক চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

এ্যাক্সিওস নামে একটি মার্কিন-ভিত্তিক সংবাদ ওয়েবসাইট রিপোর্ট করেছে যে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করছেন দুই পক্ষের মধ্যেই অবস্থান নরম হতে দেখা গেছে।

তারা বলছেন, রুশ পক্ষ বলছে তারা শুধুই ডনবাস অঞ্চলকে অসামরিকীকরণ করতে চান।

যদিও এর আগে রুশ অভিযানের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ ও নাৎসীমুক্ত করতে চান।

তিনি আরো বলেছিলেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ক্রাইমিয়াকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের স্বাধীনতাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, জেলেনস্কির জন্য রুশ প্রস্তাব মেনে নেয়া ‘কঠিন’ ছিল তবে এতে কিয়েভে ক্ষমতার পরিবর্তনের কথা নেই এবং ইউক্রেনকেও তার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

আজ একই ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও। তিনি বলেন, ইউক্রেনে ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের লক্ষ্য নিয়ে রুশ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। ইউক্রেন দখলের কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাখারোভা বলেন, ‘রুশ সেনাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের সরকারকে উচ্ছেদ করা নয়। ইউক্রেন দখল করা বা দেশটির বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য নিয়েও সেনারা এগোচ্ছে না’।

ইসরায়েলি দৈনিক জেরুসালেম পোস্ট কিছু সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলছে, রুশ প্রস্তাবটি ‘চুড়ান্ত’ এবং জেলেনস্কি এটা না মানলে পুতিন কিয়েভে তীব্র হামলা চালাবেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *