অনলাইন ডেস্ক, ৪ মার্চ।। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক দিন আগে থেকেই দেশের সেনা বাহিনীকে পরমাণু যুদ্ধের মহড়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি নিজে সেই মহড়ার ওপর নজর রেখেছিলেন বলে জানিয়েছিল তারই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো তখন থেকেই বলতে শুরু করেছিল, তলে তলে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাশিয়া। তবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের অভিযোগ, পরমাণু যুদ্ধের পরিকল্পনা আসলে পশ্চিমা দেশগুলোরই মস্তিষ্কপ্রসূত, তাদের নয়।
সম্প্রতি এক অনলাইন বৈঠকে লাভরভ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সেটা পরমাণু যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই হবে না। তার জন্য আমেরিকা আর পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। এর ফলে পুরো বিশ্বে কার্যত কোণঠাসা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের সমালোচনার ঝড় ওঠে। পশ্চিমের দেশগুলো ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের পরিকল্পনার অভিযোগ তোলে।
তাই লাভরভকে গতকাল বৃহস্পতিবার বলতে শোনা গিয়েছে, তারা পরমাণু যুদ্ধের কোনও রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। পশ্চিমা দেশগুলোর মাথাতেই শুধু এই ধরনের পরিকল্পনা ঘুরছে। তাই তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছে। তবে লাভরভ হুঁশিয়ারির সুরে বলে রেখেছেন, ‘এক বার পরমাণু হামলা হলে এটা ভাবার কারণ নেই যে আমরা ভারসাম্য রক্ষা করতে জানি না’। অর্থাৎ পাল্টা জবাব দিতে রাশিয়াও যে প্রস্তুত সেটা জানিয়ে রেখেছেন লাভরভ।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে রাশিয়ার। তা ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও বিশাল সম্ভারও রয়েছে তাদের। ফলে তারা যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর। তবে লাভরভ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বৃহস্পতিবার।
যদিও একই সঙ্গে আজ আমেরিকার বিরুদ্ধে আরও একবার তোপ দেগেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন প্রশাসনকে অ্যাডলফ হিটলার এবং নেপোলিয়ান বোনাপার্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন লাভরভ। তার কথায়, ‘তাদের আমলে নেপোলিয়ান আর হিটলার ইউরোপকে নিজেদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছিলেন। আর এখন আমেরিকাও ঠিক সেটাই করছে’।