স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ মার্চ।। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। রেফারের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। প্রথমবারের মত ত্রিপুরায় সম্পন্ন হওয়া ওপেন হার্ট সার্জারি সহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একাধিক সাফল্য তার উজ্জ্বল নজির। আজ ১৬টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
অত্যাধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির জন্য ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনের সামনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর আয়োজিত একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পতাকা নেড়ে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। উদ্বোধন শেষে অত্যাধুনিক লাইফসাপোর্ট সম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সম্পর্কে অবহিত হন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় পরিকাঠামো উন্নয়ন ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরণে গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় শুরু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন রাজ্যের নাগরিকগণও। এই সহায়তায় ওপেন হার্ট সার্জারির মত ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচারেরও সুযোগ মিলছে।
অতি সম্প্রতি জিবিপি হাসপাতালে এক মহিলার সফল ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নে সমস্ত অংশের নাগরিকদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন জটিল রোগ সহ সমস্ত ধরণের স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বহিরাজ্যে গিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে না হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও রোগীদের হাসপাতালে স্থানান্তরের সাহাযার্থে এই ধরণের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জনগণের স্বার্থে চালু করেছে সরকার। আজ সূচনা হওয়া ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার মধ্যে ১২টি বিভিন্ন মহকুমা হাসপাতাল ও অবশিষ্ট ৪টি পৃথক জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেওয়া হবে।
আজ এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা রাধা দেববর্মা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা সুভাশিষ দেববর্মা সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ।