অনলাইন ডেস্ক, ২ মার্চ।। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নানামুখী উদ্যোগের পরেও বিশ্ববাজারে মূল্য আরেক দফা বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য এখন ব্যারেল প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে ১১০ ডলার হয়েছে। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)-র সদস্যভুক্ত দেশগুলো বাজার স্থিতিশীল রাখতে ছয় কোটি ব্যারেল তেল ছাড় করার ব্যাপারে মঙ্গলবার সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ছাড় করা এসব তেলের অর্ধেকের জোগান দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ডলার হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ৩০টি দেশের সংগঠন আইইএ তাদের জরুরি মজুত থেকে ৬ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ার পরও দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়া অন্যতম বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাশিয়ার ওপর থেকে জ্বালানি নির্ভরতা কত দ্রুত কমানো যায় সেদিকে তারা নজর দিচ্ছেন।
স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নে দেওয়া প্রথম ভাষণে বাইডেন কংগ্রেস সদস্যদের বলেন, ‘আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের মজুত থেকে ছয় কোটি ব্যারেল তেল ছাড়ের ব্যাপারে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমেরিকা এই প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে তারা তিন কোটি ব্যারেল তেল ছাড় করছে।’
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন প্রয়োজনে আরও কিছু করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিবৃতিতে বলা হয়, বৈশ্বিক তেলের বাজারে একটি ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে আইইএ’র গভর্নিং বোর্ডের ৩১ সদস্য দেশ এ দিনের গোড়ার দিকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বৈশ্বিক তেলের বাজারে জ্বালানি তেলের ঘাটতি হবে না।