স্টাফ রিপোর্টার, কুমারঘাট, ১ মার্চ।। বইমেলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুদেরকে
রাজ্যে গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। আগামী প্রজন্মকে গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যে শিক্ষার মান বাড়ছে। রাজ্যের সামগ্রিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। কুমারঘাটের পূর্ত ময়দানে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, বিরজু মহারাজ, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহেড়ির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রথম ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলার উদ্বোধন করে শ্রমমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বই আমাদের জীবনের অন্যতম অবলম্বন। বইয়ের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। বইমেলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুদেরকে বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিভূতি পালিত বলেন, বইমেলা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মেলা। এই মেলার সাথে অন্য কোনও মেলার তুলনা হয় না। বইমেলা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুধাংশু দাস বলেন, জ্ঞানের আদান প্রদান বইমেলার মাধ্যমেই সম্ভব হয়। বই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা এবং অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স ও পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক কুমারঘাট পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হ্যাপি দাস, কুমারঘাট মহকুমার মহকুমা শাসক সুব্রত ভট্টাচার্য, এসডিপিও গমনজয় রিয়াং প্রমুখ।
পাঁচদিনব্যাপী ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। মেলায় মোট ২৩টি বুক স্টল খোলা হয়েছে। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবি সম্মেলন।