অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ফেব্রুয়ারী।। আগ্রাসনের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে একের পর এক তেলের ডিপো এবং গ্যাস পাইপলাইন জ্বালিয়ে দিচ্ছে রাশিয়ান সেনারা। ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
শনিবার মধ্যরাতের পর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর ভাসিলকিভের একটি তেলের গুদাম জ্বালিয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা। এছাড়া রাতভর শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ভাসিলকিভেল মেয়র নাতালিয়া বালাসিনোভিচ। ইউক্রেনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভের দখলও নিয়ে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, দখল নেওয়ার পর শহরের মূল গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। এছাড়াও দেশটির বিভিন্ন শহরের তেলের গুদাম ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাকে রুশ বাহিনী তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত কিয়েভে তিন দফা বিমান হামলা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষ্যদর্শী।
ওদিকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোও বসে নেই। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ন্যাটোর ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ থেকে ব্যাবসা গোটাতে হবে রাশিয়ার প্রধান ব্যাংকগুলোকে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধান মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম থেকেও বাদ পড়বে রাশিয়া।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইতালি ও ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এই মর্মে একমত যে, রাশিয়াকে এই হামলার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার কার্যক্রম চালু থাকবে’।